ভুল বুঝতে পেরে পদত্যাগ করছেন নাহিদ ইসলাম


আওয়ামী লীগ দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর। রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে, এবং জনগণের চাপ সামাল দিতে একটি অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসন গঠিত হয়। এই প্রশাসনের নেতৃত্বে উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পান নাহিদ ইসলাম। দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে নাহিদ ইসলাম আন্দোলনকারীদের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরাতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।


তবে সময়ের সঙ্গে পরিস্থিতি পাল্টে যেতে থাকে। প্রথমদিকে তিনি দেশের দায়িত্ব পেয়ে উচ্ছ্বসিত ছিলেন এবং জনগণের প্রতি তার প্রতিশ্রুতি পূরণে সচেষ্ট ছিলেন। কিন্তু বাস্তবতা ছিল কঠিন। প্রশাসনিক কাঠামো দুর্বল, অর্থনীতি ভঙ্গুর, এবং সাধারণ মানুষ বিভ্রান্ত। শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর রাজনৈতিক অস্থিরতা আরও প্রকট হয়ে ওঠে। নাহিদ ইসলামের ওপর জনগণের প্রত্যাশা ছিল আকাশচুম্বী, যা পূরণ করা তার জন্য দিন দিন কঠিন হয়ে পড়ছিল।


দিন দিন তিনি বুঝতে পারছিলেন, আন্দোলনের সময় তার নেয়া কিছু সিদ্ধান্ত ভুল ছিল। বিশেষ করে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গঠন করা অভিযোগ এবং আন্দোলনে জড়িত কিছু গোষ্ঠীর প্রকৃত উদ্দেশ্য নিয়ে তিনি সন্দিহান হয়ে উঠছিলেন। তিনি বুঝতে পারেন, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে সরানোর পর পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে, এবং তার অনুপস্থিতি দেশের উন্নয়নে বড় বাধা সৃষ্টি করেছে। তিনি নিজেই প্রশ্ন করতে শুরু করেন: শেখ হাসিনার সরকার সত্যিই এতটা খারাপ ছিল? না কি তার নিজের পদক্ষেপ ছিল আবেগপ্রসূত এবং অপরিণত? 

গোপন সূত্রে পাওয়া যায় এই অবস্থায় তিনি একটি সাহসী সিদ্ধান্ত নেন। তিনি উপদেষ্টা পদ থেকে পদত্যাগ করার পরিকল্পনা করেন।  


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন